ডাক্তার’ পাশে রেখেই টেন্ডুলকারের আপেল পছন্দ

ইংরেজি প্রবাদে আছে, ‘অ্যান অ্যাপেল এ ডে, কিপস দ্য ডক্টর অ্যাওয়ে।’ অর্থাৎ প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ডাক্তারের দরকার পড়ে না। তবে শচীন টেন্ডুলকারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি খাটে না।


তিনি আপেল পছন্দ করেন কিন্তু পাশে ডাক্তার থাকতে হবে!
কিছু বোঝা গেল? আচ্ছা, ব্যাপারটা তাহলে খুলে বলা যাক। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় এমআইজি ক্রিকেট ক্লাবে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক গিয়েছিলেন টেন্ডুলকার। ভারতের খ্যাতনামা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ যশোবন্ত আম্বেদকার এবং আরও দুই ডাক্তারের লেখা সেই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন টেন্ডুলকারের স্ত্রী অঞ্জলি। তিনি নিজেও শিশুরোগের ডাক্তার এবং একসময় যশোবন্ত আম্বেদকারের ছাত্রী ছিলেন। কিন্তু জীবনসঙ্গী ক্রিকেট নিয়ে পড়ে থাকায় অঞ্জলি ডাক্তারি পেশা ছেড়ে সন্তানদের দেখাশোনার দায়িত্ব নেন।
টেন্ডুলকার এর আগে বহু অনুষ্ঠানে এ জন্য অঞ্জলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। খেলোয়াড়ি জীবনে ভারতীয় ক্রিকেটে প্রত্যাশার সব চাপ তাঁর কাঁধে থাকায় সন্তানদের সেভাবে দেখাশোনা করতে পারতেন না। অঞ্জলি নিজের পেশা ছেড়ে সন্তানদের দেখাশোনার দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেওয়ায় টেন্ডুলকার আবারও তাঁকে ধন্যবাদ জানালেন এভাবে, ‘আমার কোনো কৃতিত্ব নেই। সব কৃতিত্ব আমার পেছনের মানুষটির (অঞ্জলি)। আমরা দুজনেই নিজ নিজ ক্যারিয়ারে ভালো করছিলাম। কিন্তু ঠিক তখনই সে (অঞ্জলি) নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ থেকে সরে এসে সন্তানদের পাশে দাঁড়াল।’
বাকিটা ইতিহাস। অঞ্জলি সন্তানদের সামলেছেন বলেই দুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত চষে বেরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়তে পেরেছেন টেন্ডুলকার। ভারতের ‘গড অব ক্রিকেট’ যে তাঁর জীবনসঙ্গীকে ভীষণ ভালোবাসেন, সেটা বোঝা গেল তাঁর কথাতেই, ‘বড় হয়েছি এ প্রবাদ শুনে—“অ্যান অ্যাপেল এ ডে কিপস দ্য ডক্টর অ্যাওয়ে”। কিন্তু আজ এটা বলতে পারি, ডাক্তারকে পাশে রেখেই আমি আপেল পছন্দ করি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment